মাহে রমজান উম্মতে মুহাম্মদির জন্য একটি বিশেষ নেয়ামত, বিশেষ অনুগ্রহ, বিশেষ দয়া । সম্মানিত পাঠক আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন আমাদের গুনাহ মাফ পাওয়া এবং সওয়াব সীমাহীন বৃদ্ধির জন্য নেয়ামত হিসাবে এই রমজান মাসকে দিয়েছেন ।
হে আল্লাহ তোমার কাছে বিতাড়িত
শয়তানের থেকে পানাহ চাচ্ছি এবং তোমরা নামেই শুরু করছি । কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি
তোমার প্রতি যে আমাদের কে তৌফিক দান করে মাহে রমজান পর্যন্ত জীবন দান করেছেন এবং ইবদাতের
সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন । দুরুদ ও সালাম পেশ করছি রাসূল সাঃ এর উপর যার আনিত
বিধানই মানব জাতির মুক্তির পথ ।
সম্মানিত পাঠক বৃন্দ সবাইকে স্বাগতম
জানাচ্ছি মাহে রামজানের ফজিলত নিয়ে আলোচিত আজকের এই গুরুত্বপূর্ন পোষ্টে ।
মাহে রমজান উম্মতে মুহাম্মদির জন্য
একটি বিশেষ নেয়ামত, বিশেষ অনুগ্রহ, বিশেষ দয়া । সম্মানিত পাঠক আল্লাহ রাব্বুল আল
আমিন আমাদের গুনাহ মাফ পাওয়া এবং সওয়াব সীমাহীন বৃদ্ধির জন্য নেয়ামত হিসাবে এই
রমজান মাসকে দিয়েছেন । এই মাসটি আমাদের
জন্য অনেক বড় ফজিলতেরও যেমনঃ
১। এ মাসে আল-কুরআন নাযিল হয়েছে ।
এটি এমন একটি গুরুত্বপূর্ন মাসে যে
মাসে আল্লাহর কালাম, মানব মুক্তির গাইডলাই, সুস্পষ্ট হেদায়াতের নির্দেশনাবলি, হক
বাতিলের পার্থক্যকারি আল-কুরআনুল মাজিদ নাজিল হয়েছে ।
যেমন আল্লাহ তা আলা বলেন,
রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন,
যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায়
ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। (সুরা আল-বাকার আয়াতঃ ১৮৫)
২। এ মাস রহমত, মাগফেরাত এবং নাজাতের
মাস ।
রমজান মাস হলো রহমত, মাগফেরাত এবং
নাজাতের মাস । এ মাসের প্রতিটি দিনই রহমত, মাগফেরাত এবং নাজাতের । প্রত্যেক নেক
আমল কারির জন্য এই নেয়ামত রয়েছে এই মাসে ।
৩। এ মাসে জান্নাতের দরজা সমূহ খুলে
দেয়া হয় ।
এই মাসে জন্নাতের দরজা সমূহ খুলে
দেয়া হয় অধিকহারে নেক আমলে করার জন্য এবং নেক আমলে উৎসাহ দেবার জন্য ।
যেমন রাসূল সাঃ বলেন, যখন রমজান মাস
আগমন করে তখন জান্নাতের দরজা সমূহ খুলে দেয়া হয়.. (বুখারী-১৮৯৯)
৪। এ মাসে জাহান্নামের দরজা সমূহ
বন্ধ করে দেয়া হয় ।
এই মাসে গুনাহ কম হয় তাই এ মাসে
জাহান্নামের দরজা সমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় । (বুখারি-মুসলিম)
৫। এ মাসে শয়তান কে বন্দি করে রাখা
হয় ।
রমজান মাসে শয়তান কে শিকল বদ্ধ বা
শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয় (বুখারি-মুসলিম)
। এ মাসে মানুষ শয়তানের প্রচোনায় কম
পড়ে এবং ইবাদতের বেশি সুযোগ পায় ।
৬। সিয়াম পালন করির জন্য ফেরেশতারা
ইফতারের পূর্ব পর্যন্ত মাগফিরাত কামনা করতে থাকে ।
উম্মতে মুহাম্মদির জন্য আর একটি
বিশেষ নেয়ামত হলো সিয়াম পালন কারির জন্য ফেরেশতাগন দোআ করতে থাকে যত ক্ষন না ইফতার
শুরু হয় । আর ফেরেশতা গন আল্লাহর সম্মানিত বান্দা এবং এরা আল্লাহর হুকুম কখন
অমান্য করেনা তাই তাদের পক্ষ থেকে সিয়াম/রোজা পালন কারির জন্য দোয়া কবুল হওয়া অধিক
যুক্তিযুক্ত ।
৭। এ মাসের শেষ রাতে উম্মতে
মুহাম্মদীকে ক্ষমা করে দেয়া হয় ।
এ মাসের প্রতিটি রাতের শেষ অংশে
আল্লাহ উম্মতে মুহাম্মদীদেরকে ক্ষমা করে দেন । এই মাসে উম্মতগন ফরজ সলাত এবং সিয়াম
আদায়ের পাশাপাশি তারাবি বা রাতের সলাত আদায় করে, নফল ইবাদত করে তাই আল্লাহ বিশেষ
অনুগ্রহে এ মাসে তার উম্মতগন কে ক্ষমা করে দেন ।
এমন হয়ত হতো যে এই বান্দা গুলো যদি
রমজানের পূর্বেই মারা যেত তবে হয়ত জাহান্নামে যেত কিন্তু রমাজন পাবার কারনে এবং
আল্লাহ তাদের গুনাহ মাফ করে দেবার কারনে এখন তারা জান্নাতের হকদার হয়ে গেলো ।
আর কাজের শেষেই পাওনা মিটিয়ে দেয়া হয়
তেমনি ভাবে শেষ রাতে আল্লাহ তাআলা তার পছন্দের বান্দাদের গুনাহ মাফ করে দেন ।
৮। এ মাসে মানুষ অধিক নেক আমল করার
তৌফিক পায় ।
এ মাসে অধিক আমল করার সুযোগ হয় আর এ
সুযোগ আল্লাহ তাআলার এক বিশেষ নেয়ামত, অন্য সাধারন মাসে কজের চাপে হোক আর অনিশ্চাকৃতই
হোক রমজানের মত এত বেশি ইবাদত করার সুযোগ হয়ত হয় না কিন্তু রমজান মাসে আল্লাহর
সাহায্য, মেহেরবানী এবং অনুগ্রহে বেশি ইবাদত করার সুযোগ হয় ।
৯। এ মাসে নেক আমল দশ গুন থেকে সাতশত
গুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দেয়া হয় ।
এ মাসের সওয়াব অন্য মাসের তুলনায় ১০
থেকে ৭০০ গুন বেশি বৃদ্ধি করে দেয়া হয় । এটা অন্য মাসের তুলনায় অধিক ফজিলতের ।
১০। সিয়াম পালন কারির মুখের গন্ধ
আল্লাহর কাছে মিসকের চেয়ে অধিক প্রিয় ।
সিয়াম পালন করার ফলে মানুষের স্টমাকে
খাদ্য শুন্যতার সৃষ্টি হয় এবং খাদ্য শুন্য স্টমাকে এসিড ক্ষরনের ফলে যে গ্যাস বা
গন্ধের সৃষ্টি হয় তা আল্লাহ তাআলার কাছে অধিক প্রিয় কারন এগুলো তো তার হুকুম
পালনের জন্যই হয়ে থাকে আর তাই তা তার কাছে মেশকের চেয়েও অধিক প্রিয় । (বুখারী-২৮০৩)
আল্লাহ তাআলা আমাদের রমজান মাসে বেশি বেশি আমল করার তৌফিক দান করুন (আমিন)
মন্তব্য