আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত , তিনি বলেন ওমর রাঃ বলেছেন , তিনটি বিষয়ে আমার সিদ্ধান্তের সাথে মহান আল্লাহর ওহীর সিদ্ধান্তের অনুরুপ হয়েছে । অথবা তিনি...
আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত , তিনি বলেন ওমর রাঃ বলেছেন, তিনটি বিষয়ে আমার সিদ্ধান্তের সাথে মহান আল্লাহর ওহীর সিদ্ধান্তের অনুরুপ হয়েছে । অথবা তিনি বলেছেন (রাবীর সন্দেহ) আমার রব আমার তিনটি সিদ্ধান্তের (সাথে মতৈক্য পোষণ করে ) ওহী নাযীল করেছেন ।
তিনটি বিষয় হলোঃ
১। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সাঃ আপনি যদি মাকামে ইব্রাহীমে নামায পড়তেন তবে কতইনা ভালো হতো।
অতঃপর মহান আল্লাহ তাঅলা এ প্রসঙ্গে আয়াত অবতীর্ণ করেন,
وَإِذْجَعَلْنَا الْبَيْتَ مَثَابَةًلِّلنَّاسِ وَأَمْناً وَاتَّخِذُواْ مِنمَّقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّىوَعَهِدْنَا إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ أَنطَهِّرَا بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْعَاكِفِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ
যখন আমি কা'বা গৃহকে মানুষের জন্যে সম্মিলন স্থল ও শান্তির আলয় করলাম, আর তোমরা ইব্রাহীমের দাঁড়ানোর জায়গাকে নামাযের জায়গা বানাও এবং আমি ইব্রাহীম ও ইসমাঈলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তওয়াফকারী, অবস্থানকারী ও রুকু-সেজদাক ারীদের জন্য পবিত্র রাখ। [সুরা বাকারা: ১২৫]
২। আমি বলেছিলাম, হে আল্লাহর রাসূল সাঃ আপনার কাছে ( উম্মুল মুমিনীনের ঘরে) নেককার বদকার সব রকমের লোক জন আসা যাওয়া করে । তাই আপনি যদি উম্মুল মুমিনীনদের পর্দা করার আদেশ করতেন তবে কতই না ভালো হত।
অতঃপর মহান আল্লাহ তাঅলা এ প্রসঙ্গে আয়াত অবতীর্ণ করেন,
وَقُللِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْأَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَايُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّامَا ظَهَرَ مِنْهَاوَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىجُيُوبِهِنَّ وَلَا يُبْدِينَزِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْآبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءبُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْأَبْنَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْإِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِيإِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِيأَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِالتَّابِعِينَ غَيْرِ أُوْلِيالْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِأَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَلَمْ يَظْهَرُوا عَلَىعَوْرَاتِ النِّسَاء وَلَايَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَايُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ وَتُوبُواإِلَى اللَّهِ جَمِيعًاأَيُّهَا الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। [সুরা নুর: ৩১]
৩। তিনি বলেন, এক সময় আমি জানতে পারলাম নবী সাঃ তার কোন স্ত্রীকে তিরস্কার করেছেন এবং তাদের প্রতি অসুন্তষ্ট হয়েছেন । তাই আমি উম্মুল মুমিনীনের কাছে গিয়ে বললাম, আপনার আল্লাহর রাসূল সাঃ কে নারজ করা থেকে বিরত থাকুন অন্যথায় আল্লাহ তার রাসূলকে আপনাদের পরিবর্তে আরো অতি উত্তম বিবি প্রদান করতে পারেন ।
অতঃপর মহান আল্লাহ তাঅলা এ প্রসঙ্গে আয়াত অবতীর্ণ করেন,
عَسَىرَبُّهُ إِن طَلَّقَكُنَّ أَنيُبْدِلَهُ أَزْوَاجًا خَيْرًامِّنكُنَّ مُسْلِمَاتٍ مُّؤْمِنَاتٍ قَانِتَاتٍتَائِبَاتٍ عَابِدَاتٍ سَائِحَاتٍثَيِّبَاتٍ وَأَبْكَارًا
যদি নবী তোমাদের সকলকে পরিত্যাগ করেন, তবে সম্ভবতঃ তাঁর পালনকর্তা তাঁকে পরিবর্তে দিবেন তোমাদের চাইতে উত্তম স্ত্রী, যারা হবে আজ্ঞাবহ, ঈমানদার, নামাযী তওবাকারিণী, এবাদতকারিণী, রোযাদার, অকুমারী ও কুমারী। [সুরা তাহরীম: ৫]
(বুখারী, ৪৪৮৩)
মন্তব্য