বর্ষাকাল হচ্ছে আমড়ার শ্রেষ্ঠ সময়। এ সময়েই আমড়া বাজারে আসা শুরু করে। সাধারণ ফল বিক্রেতাসহ সবজি বিক্রেতাদের কাছেও আমড়া মেলে।
গরমের দিনে হাতে হাতে শোভা পায় আমড়া দিয়ে বানানো ফুল। শ্রান্ত পথিকের স্বাদের যোগান দিতে লবণ মরিচের গুঁড়ায় আমড়া ফল অতুলনীয়। সহজলভ্য ও কচমচে স্বাদের এই ফল খুব সহজেই সকলের মনে স্থান করে নিয়েছে। ক্লাস শেষে স্কুল কলেজের ছাত্র- ছাত্রীরা ছুটে আসেন ভ্রাম্যমাণ ফল বিক্রেতাদের কাছ থেকে আমড়া কিনতে।
বর্ষাকাল হচ্ছে আমড়ার শ্রেষ্ঠ সময়। এ সময়েই আমড়া বাজারে আসা শুরু করে। সাধারণ ফল বিক্রেতাসহ সবজি বিক্রেতাদের কাছেও আমড়া মেলে। সবজি বা আচারে এই ফলের তুলনা হয় না। শুধু স্বাদে নয় অসাধারণ পুষ্টিগুণে অনন্য আমড়া ফল।
প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী
আমড়াতে পাওয়া যাবে
শর্করা ১৫ গ্রাম,
আমিষ ১.১ গ্রাম,
চর্বি ০.১ গ্রাম,
ক্যালসিয়াম ৫৫ মিলিগ্রাম,
লৌহ ৩.৯ মিলিগ্রাম,
ক্যারোটিন ৮০০ মাইক্রোগ্রাম,
ভিটামিন বি১ ০.২৮ মিলিগ্রাম,
ভিটামিন বি২ ০.০৪ মিলিগ্রাম,
ভিটামিন সি ৯২ মিলিগ্রাম,
খনিজ পদার্থ ০.৬ গ্রাম,
খাদ্যশক্তি ৬৬ কিলোক্যালরি।
এসব উপাদান আপনার শরীরকে রাখে নানা রোগ থেকে মুক্ত।
আসুন জেনে নেয়া যাক আমড়ার কার্যকারীতা সম্পর্কে-
* আমড়া রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের
মাত্রা কমাতে সাহায্য করে দারুনভাবে।
* স্ট্রোক ও হৃদরোধ প্রতিরোধে আমড়ার রয়েছে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
* আমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন
সি ও ক্যালসিয়াম। মাড়ি ও দাঁতের বিভিন্ন
রোগ প্রতিরোধে এসব উপাদান সাহায্য করে।
* এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যআঁশ, যা
বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য
করে।
* খিঁচুনি, পিত্ত ও কফ নাশক হিসেবে
আমড়ার রয়েছে বহুল ব্যবহার।
* আমড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ক্যানসারসহ বিভিন্ন
রোগ প্রতিরোধে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহায়তা
করে।
* অরুচি ও শরীরের অতিরিক্ত উত্তাপকে দূর
করতে সাহায্য করে আমড়া।
* ত্বক, নখ ও চুল সুন্দর রাখে আমড়ার গুণের
পরিচয়। ত্বকের নানা রোগও প্রতিরোধ করে।
মন্তব্য