আর যখনই রমজান মাস প্রকাশিত হবে তখন থেকেই রোজা রাখা শুরু করতে হবে, নতুবা কোন রোজা নেই ।
ততক্ষন পর্যন্ত রমজানের রোজা ফরজ হবে
না যতক্ষন না প্রমানিত হয় যে এটা রমজান মাস । আর রমজান মাস তখনি প্রমানিত হয় যখন
শাবান মাস শেষ হয়ে নতুন চাঁদ উঠে এবং এর পূর্বে রোজা রাখাকে নিষেধ করা হয়েছে যদি
না সে নিয়মতিই পূর্বের মাস গুলোতে রোজা রাখে । যেমন হাদিসে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ
بْنُ إِبْرَاهِيمَ
حَدَّثَنَا هِشَامٌ
حَدَّثَنَا يَحْيَى
بْنُ أَبِي
كَثِيرٍ عَنْ
أَبِي سَلَمَةَ
عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ عَنْ
النَّبِيِّ صلى
الله عليه
وسلم قَالَ
لاَ يَتَقَدَّمَنَّ
أَحَدُكُمْ رَمَضَانَ
بِصَوْمِ يَوْمٍ
أَوْ يَوْمَيْنِ
إِلاَّ أَنْ
يَكُونَ رَجُلٌ
كَانَ يَصُومُ
صَوْمَهُ فَلْيَصُمْ
ذَلِكَ الْيَوْمَ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা কেউ রমযানের একদিন কিংবা দু’দিন আগে হতে সওম শুরু করবে না।
তবে কেউ যদি এ সময় সিয়াম পালনে অভ্যস্ত থাকে তাহলে সে সেদিন সওম পালন করতে
পারবে।
আর যখনই রমজান মাস প্রকাশিত হবে তখন
থেকেই রোজা রাখা শুরু করতে হবে । যেমন
আল্লাহ তাআলা বলেন,
কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি
পাবে,
সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির
অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। (সুরা বাকারা আয়াত ১৮৫)
অর্থাৎ যখনিই রমজান মাস প্রকাশিত হবে
তখনিই রোজা রাখতে হবে, আর প্রকাশিত না হলে রোজা ফরজ হবে না ।
রমজান মাস প্রকাশিত হয়েছে কিনা বুঝার দুইটি উপায়
১। চাঁদ উঠা ।
শাবান মাসের পর যখনই নতুন চাঁদ দেখা
যাবে তখন থেকেই রমজানের শুরু যেমন- আবু হুরাইরা রাঃ থেকে বর্নিত রাসূল সাঃ বলেন,
যখন তোমরা রমযানের চাঁদ দেখবে, তখন সিয়াম পালন করবে । (বুখারী-মুসলিম)
রাসূল সাঃ বলেন, যখন তোমার রামযানের
চাঁদ দেখ তখন সিয়াম পালন করো আর যখন শাওয়ালের চাঁদ দেখ তখন সিয়াম ভঙ্গ করো ।
(বুখারী-মুসলিম)
চাঁদ দেখলেই রোজা রাখতে হবে এবং
ভাঙ্গতে হবে এবং চাঁদ দেখলে জানাতে হবে, আর প্রত্যেক ব্যাক্তির চাঁদ দেখা শর্ত নয়
বরং একজন নির্ভরযোগ্য পুরুষ সাক্ষ্য দিলে সকলের ওপর সিয়াম পালন জরুরী হবে ।
চাঁদ দেখে সাক্ষ্য প্রদান কারির কিছু
শর্ত রয়েছে তা হলো-
·
সাক্ষ্যদাতা প্রাপ্ত
বয়স্ক হওয়া / অপ্রপ্ত বয়স্কের সাক্ষ্যদান গ্রহন যোগ্য নয় ।
·
বুদ্ধিমান হওয়া /
পাগল কিংবা মানসিক রোগীর সাক্ষ্য গ্রহনযোগ্য নয় ।
·
মুসলমান হওয়া / কোন
কাফির কিংবা অমুসলিমের সাক্ষ্য গ্রহনযোগ্য নয় ।
·
দৃষ্টি শক্তি
সম্পন্ন হওয়া
·
বিশ্বস্ত এবং
আমানতদারী হতে হবে ।
তাই উক্ত শর্ত সাপেক্ষে যে কেউ চাঁদ
দেখলে তার উচিত হবে প্রশাসক কে বিষয়টি জানানো এবং নিজে সিয়াম শুরু করা । আর যখন
প্রশাসক থেকে চাঁদ দেখার বিষয়টি ঘোষনা করা হয় তখন তার উপর আমল করা আবশ্যক ।
২। শাবান মাস কে পূর্ন করা ।
যদি চাঁদ দেখা না যায় তবে শাবান
মাসকে ৩০ দিন পূর্ন করতে হবে এবং পরবর্তী মাস রমযান হিসাবে গন্য হবে । আরবি মাস
সাধারনত ২৯ অথবা ৩০ দিনের হয় কিন্তু কখনো ৩০ দিনের বেশি হয় না আবার একটানা দুইটি
কিংবা তিনটি বা আরো বেশি মাস ২৯ দিনের হতে পারে (চাঁদ দেখার উপর) আবার ৩০ দিনও হতে
পারে তাই চাঁদ দেখা না গেলে শাবান মাসকে পূর্ন করে নিতে হবে ।
যেমন মুসলিম শরিফের একটি হাদিসে
এসেছে, রাসূল সাঃ বলেন-
তোমারা চাঁদ দেখে সিয়াম পালন কর এবং
চাঁদ দেখে সিয়াম ভঙ্গ করো । আকাশ যদি মেঘাচ্ছন্ন থাকে তখন ওই মাস ত্রিশ দিন হিসাবে
গননা করা হবে । (মুসলিম ১০৮১)
এমনি ভাবে বুখারী শরিফেও এসেছে বিষয়টি
যেমন রাসূল সাঃ বলেন-
চাঁদ যদি অজ্ঞাত থাকে তাহলে শাবান
মাসটি ত্রিশ দিন পূর্ন কর । (বুখারী ১৯০৯)
চাঁদ না উঠলে এবং সন্দেহ বসত চাঁদ উঠেছে মনে করে রোজা
না রাখা বরং শাবান কে পূর্ন করাই বুদ্ধিমানের কাজ ।
যেমন আম্মার রাঃ বলেন, যে ব্যাক্তি
সান্দেহের দিন সিয়াম পালন করল সে আবুল কাসেম সাঃ সাফরমানী করলো । (আবু দাউদ ২৩৩৪)
মন্তব্য