আল্লাহ তাআলা বলেন يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا آمِنُوا بِاللَّـهِ وَرَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي نَزَّلَ عَلَىٰ رَسُولِهِ وَالْكِتَا...
আল্লাহ তাআলা বলেন
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا آمِنُوا بِاللَّـهِ وَرَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي نَزَّلَ عَلَىٰ رَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي أَنزَلَ مِن قَبْلُ ۚ وَمَن يَكْفُرْ بِاللَّـهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيدًا
হে ঈমানদারগণ, আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন কর এবং বিশ্বাস স্থাপন কর তাঁর রসূলও তাঁর কিতাবের উপর, যা তিনি নাযিল করেছেন স্বীয় রসূলের উপর এবং সেসমস্ত কিতাবের উপর, যেগুলো নাযিল করা হয়েছিল ইতিপূর্বে। যে আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশতাদের উপর, তাঁর কিতাব সমূহের উপর এবং রসূলগণের উপর ও কিয়ামতদিনের উপর বিশ্বাস করবে না, সে পথভ্রষ্ট হয়ে বহু দূরে গিয়ে পড়বে।
(আল কুরাআন, সুরা নিসা, আয়াতঃ১৩৬)
উপরোক্ত আয়াত দ্বারা বুঝা যায় যে, ঈমানের স্তর হচ্ছে ছয়টি । যথাঃ-
- আল্লাহ তাআলার প্রতি বিশ্বাসঃ এর অর্থ হচ্ছে তার অস্তিত্বে, একাত্ববাদে, তার ছিফাত বা গুণাবলীতে বিশ্বাস স্থাপন করা । তিনি একক চিরস্থায়ী ও পরাক্রমশালী ।
- নবী-রাসূলগনের প্রতি বিশ্বাসঃ হযরত আদম আঃ থেকে শুরু করে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ পর্যন্ত যত নবী রাসূল এসেছেন তাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন । তাদের কে সত্য বলে স্বিকার কার ।
- কিতার সমূহের প্রতি বিশ্বাসঃ সকল কিতাব সমূহের প্রতি বিশ্বাস রাখা যে এগুলো সত্য, যদিও আমরা এগুলো দেখিনি ।
- ফেরেশতাগণের প্রতি বিশ্বাসঃ আল্লাহ তাআলা ফেরেশতা সৃষ্টি করেছেন এবং এরা নুরের তৈরি এবং এরা কখনো আল্লাহর হুকুম অমান্য করে না , তারা পানাহার করে না , নিদ্রা যায় না তারা আমাদের কাছে অদৃশ্য এগুলো মনে প্রাণে বিশ্বাস করা ।
- আখিরাতের প্রতি ঈমান আনাঃ পরকালে আল্লাহ তাআলা মানুষকে জীবিত করবেন এবং তাদের কৃতকর্মের হিসাব নিবেন । কর্মফল অনুযায়ী জান্নাত কিংবা জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন ।
- তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাসঃ সকল কল্যাণ - অকল্যাণ , বিপদ আপদ সুখ-দুঃখ সব কিছু আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় । এতে কারো কোন হাত নেই ।
আল্লাহ আমাদের মুমিন হবার তৌফাক দান করুন "আমিন"
মন্তব্য